সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভাব করে দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। ভূমিহীন-গৃহহীনদের আবাসস্থল প্রদানে শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একসাথে এত ভূমিহীন-গৃহহীন নাগরিকদের বিনামূল্যে স্থায়ীভাবে আবাসস্থলের ব্যবস্থা করা বিরল কৃতিত্ব। বিশ্বে এরকম দৃষ্টান্ত আর দ্বিতীয়টি নেই।
মন্ত্রী আজ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে গরীব দুঃখীর কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন। দেশের একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সেলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগের একটি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী অরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে যে সরকারগুলো এসেছিলো তারা কোনদিনও এ ধরনের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি। দেশের ১৭ কোটি জনগণ অনুধাবন করতে পেরেছে যে, দেশের কল্যাণে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। গৃহহীনদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের সরকার।
কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ উপজেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও উপকাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশব্যাপী ভার্চুয়্যালী ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে নবনির্মিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৫০ টি ও আদিতমারী উপজেলায় ১৫০ টি পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।